স্বর্গ মরীচিকা ২

এক গ্রীস্মে কানাডায় কাজ শেষ করে লন্ডনে ফিরে ভিক্টরের উচ্ছাসভরা চিঠি পেলাম। ও বিয়ে করতে যাচ্ছে। ওদের বাকদান হয়ে গিয়েছে। শিগ্রি ওদের বিয়ে হবে। মেয়েটি ওর চোখে সুন্দরতম। আমি যেন অবশ্যই ওর উকিল হই। এমন অবস’ায় অন্য যে কোন প্রকৃত… Continue reading

স্বর্গ মরীচিকা ১

১ পরে ওরা আমাকে জানালো, ওরা ওখানে কিছুই খু্ঁজে পায়নি। জীবিত কিংবা মৃত কোন প্রাণীরই চিহ্ন নাকি ওখানে ছিল না। আর আমার মনে হয়, দীর্ঘকালের ঘৃণা আর আতঙ্কে মরিয়া হয়ে ওরা শেষ পর্যন্ত ঐ নিষিদ্ধ দেয়াল ভেঙে ফেলেছিল। রাশি রাশি… Continue reading

সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ১২

৬ এপ্রিল ডেলটা হাসপাতালে ভর্তি হলো ফিহা। ওকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আমি তাড়াতাড়ি এসিটা চালিয়ে দিলাম। ওর কাছে গিয়ে বললাম, ‘এখন তোমার একটু ভাল লাগবে, সোনা বাবা।’ ও কোন কথা বললো না, কেবল ফাঁকা বড় বড় চোখ মেলে আমার দিকে… Continue reading

সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ১১

২২ ডিসেম্বর থেকে ডেলটা হাসপাতালে রেডিয়েশন দেয়া আরম্ভ হলো। সপ্তাহে পাঁচ দিন, শনিবার থেকে বুধ বার। বৃহষ্পতি আর শুক্রবার দেওয়া হতো না। সপ্তাহে পাঁচ দিন শেওড়াপাড়া থেকে সিএনজি ট্যাক্সিতে করে মিরপুরের বাংলা কলেজের কাছের ডেলটা হাসপাতালে গিয়ে রেডিয়েশন দিতে হবে।… Continue reading

সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ১০

পরের দিন সকালে উঠে নাস্তার পর আমরা তিন জনে বের হলাম জুরং বার্ড পার্ক দেখতে। ট্যাক্সিতে যাওয়ার ইচ্ছে নেই। তাই সকালে উঠে পপি বললো, খুঁজে দেখো কোথায় থেকে ওদিকে যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। কোন পথের বাস কোথায় স্টপেজ তা যখন… Continue reading

সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ৯

বেলা একটার দিকে পপি আমাদেরকে ডেকে তুললো, এখন না বের হলে মোস-ফা মার্কেটে গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে র‌্যাফেলস্‌হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছাতে দেরী হবে। আমরা গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ফিহা যাবার সময় কাউন্টারে চাবি জমা দিলো। বাইরে বেরিয়ে দেখি বেশ রোদ হলেও… Continue reading

সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ৮

দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকতে দেখি বামপাশে একটা উঁচু কাউন্টার। এটাই অফিস। দুজন প্রৌঢ়া মহিলা কাউন্টারের ওপাশে বেশ ব্যস- হয়ে কি সব করছে। আমি ফিহাকে বললাম, ‘যে কয়দিন আমরা সিঙ্গাপুরে থাকবো, সব কথাবার্তা-কাজকর্ম তুমিই করবে। আমরা তোমার ল্যাংবোট।’ ফিহা এগিয়ে গিয়ে… Continue reading

সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ৭

পর দিন সকালে সোনালী গাড়িতে করে বিমান বন্দরে পৌঁছে দিলো। নিজেও সঙ্গে থাকলো বহুক্ষণ। বোর্ডিং পাস নেওয়ার জন্যে লাইনে দাঁড়ালাম। বেশ লম্বা লাইন। পরে দেখি একজন কর্মচারী এগিয়ে এসে পাশের প্রায় ফাঁকা লাইন দেখিয়ে বললো, ‘আপনারা এপাশের লাইনে দাঁড়ান।’ দূর… Continue reading

সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ৬

ফিহার অপারেশন শেষ হলো সাড়ে চার ঘন্টা পর। ওটির দরজার ফাঁক দিয়ে ট্রলিতে শোয়ানো ফিহার অসহায় অচেতন আর কম্পনরত শরীরটা একটুখানি দেখতে পেলাম। আমার চোখ ফেটে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে থাকলো। সোনালী আবার আমাকে ধমক দিয়ে বললো, ‘এখন কেঁদে কি হবে?’… Continue reading

সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ৫

আরও এক সপ্তাহ পার হলো। ফিহার কাঁধ আর ঘাড়ের পিছনের তীব্র ব্যাথাটা আরও অসহনীয় হয়ে উঠেছে। ফোলাটাও যেন একটু বেড়েছে। জায়গাটা গরম বোধটা ক্রমে যেন বেড়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে তরিকের নির্দেশে রক্ত পরীক্ষা আর কি একটা এফএনএসি পরীক্ষা করতে হলো।… Continue reading

সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ৪

মাত্র পঁচিশ বছরের মধ্যেই আমার সেই অসহায় নবজাতকটা যখন বড় হয়ে উঠে ওর চারপাশের সকল মানুষের প্রশংসা, ভালবাসা, কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা আর অপার স্নেহ পেতে আরম্ভ করেছে, যখন ও সবাইকে ওর মেধা, ওর বিচণতা, ওর প্রজ্ঞা দেখিয়ে বিস্মিত ও বিমু” করতে… Continue reading

সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ২

যেদিন থেকে পপি আমার এ সংসারে নিয়ে এসেছিলো, সেদিন সেই ১৯৮২ সাল থেকে ও কিন’ নিজের আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে আমার আত্মীয়-স্বজনের সাথে বেশী ঘনিষ্ট ছিলো। বিয়ের মাত্র দুই মাস পরেই আমার আব্বা মারা যান। তার মাত্র অল্প কয়েক দিন আগে আমরা… Continue reading

সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ – অধ্যায় ১

সিদ্দিক মাহমুদুর রহমান ১ আমার কৈফিয়ত কোন প্রাণীর জন্ম তার নিজের ইচ্ছায় হয় না। জন্মের সময় মানবশিশু থাকে পবিত্র। অথচ পাঁচ-ছয় বছর বয়স থেকে ধর্ম ও ন্যায়-নীতি শিক্ষা আরম্ভের সাথে সাথেই মানুষকে বলা হয় সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে। শেখানো… Continue reading