বেলা একটার দিকে পপি আমাদেরকে ডেকে তুললো, এখন না বের হলে মোস-ফা মার্কেটে গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে র্যাফেলস্হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছাতে দেরী হবে। আমরা গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। ফিহা যাবার সময় কাউন্টারে চাবি জমা দিলো। বাইরে বেরিয়ে দেখি বেশ রোদ হলেও… Continue reading
গল্প
সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ৮
দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকতে দেখি বামপাশে একটা উঁচু কাউন্টার। এটাই অফিস। দুজন প্রৌঢ়া মহিলা কাউন্টারের ওপাশে বেশ ব্যস- হয়ে কি সব করছে। আমি ফিহাকে বললাম, ‘যে কয়দিন আমরা সিঙ্গাপুরে থাকবো, সব কথাবার্তা-কাজকর্ম তুমিই করবে। আমরা তোমার ল্যাংবোট।’ ফিহা এগিয়ে গিয়ে… Continue reading
সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ৭
পর দিন সকালে সোনালী গাড়িতে করে বিমান বন্দরে পৌঁছে দিলো। নিজেও সঙ্গে থাকলো বহুক্ষণ। বোর্ডিং পাস নেওয়ার জন্যে লাইনে দাঁড়ালাম। বেশ লম্বা লাইন। পরে দেখি একজন কর্মচারী এগিয়ে এসে পাশের প্রায় ফাঁকা লাইন দেখিয়ে বললো, ‘আপনারা এপাশের লাইনে দাঁড়ান।’ দূর… Continue reading
সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ৬
ফিহার অপারেশন শেষ হলো সাড়ে চার ঘন্টা পর। ওটির দরজার ফাঁক দিয়ে ট্রলিতে শোয়ানো ফিহার অসহায় অচেতন আর কম্পনরত শরীরটা একটুখানি দেখতে পেলাম। আমার চোখ ফেটে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে থাকলো। সোনালী আবার আমাকে ধমক দিয়ে বললো, ‘এখন কেঁদে কি হবে?’… Continue reading
সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ৫
আরও এক সপ্তাহ পার হলো। ফিহার কাঁধ আর ঘাড়ের পিছনের তীব্র ব্যাথাটা আরও অসহনীয় হয়ে উঠেছে। ফোলাটাও যেন একটু বেড়েছে। জায়গাটা গরম বোধটা ক্রমে যেন বেড়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে তরিকের নির্দেশে রক্ত পরীক্ষা আর কি একটা এফএনএসি পরীক্ষা করতে হলো।… Continue reading
সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ৪
মাত্র পঁচিশ বছরের মধ্যেই আমার সেই অসহায় নবজাতকটা যখন বড় হয়ে উঠে ওর চারপাশের সকল মানুষের প্রশংসা, ভালবাসা, কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা আর অপার স্নেহ পেতে আরম্ভ করেছে, যখন ও সবাইকে ওর মেধা, ওর বিচণতা, ওর প্রজ্ঞা দেখিয়ে বিস্মিত ও বিমু” করতে… Continue reading
সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ২
যেদিন থেকে পপি আমার এ সংসারে নিয়ে এসেছিলো, সেদিন সেই ১৯৮২ সাল থেকে ও কিন’ নিজের আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে আমার আত্মীয়-স্বজনের সাথে বেশী ঘনিষ্ট ছিলো। বিয়ের মাত্র দুই মাস পরেই আমার আব্বা মারা যান। তার মাত্র অল্প কয়েক দিন আগে আমরা… Continue reading
সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ – অধ্যায় ১
সিদ্দিক মাহমুদুর রহমান ১ আমার কৈফিয়ত কোন প্রাণীর জন্ম তার নিজের ইচ্ছায় হয় না। জন্মের সময় মানবশিশু থাকে পবিত্র। অথচ পাঁচ-ছয় বছর বয়স থেকে ধর্ম ও ন্যায়-নীতি শিক্ষা আরম্ভের সাথে সাথেই মানুষকে বলা হয় সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে। শেখানো… Continue reading
পাখি – The Birds
পাখি দ্যাফ দ্যু মরিয়ের-এর The Birds-এর অনুবাদ অনুবাদক – সিদ্দিক মাহমুদুর রহমান ডিসেম্বরের তিন তারিখে বাতাসের গতি রাতারাতি বদলে যাবার পথে সাথেই শীত এসে পড়লো। গতকাল পর্যন্তও হেমন্তের কোমল, মিষ্টি আবেশ লেগেছিল সারা প্রকৃতিতে। গাছপালার অবশিষ্ট পাতার রং ক্রমে সোনালী… Continue reading
সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ৩
ফিহার চার বছর বয়সে আমাদের একটু আরাম হলো। আমরা একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। আমাদের এই চরম দুরবস’ার কথা আপা অনেক দিন ধরেই জানতেন কিন’ তিনিও কোন সমাধান বের করতে পারছিলেন না। হঠাৎ তিনি রাজশাহীর গ্রামের থেকে একটা কাজের মেয়ে পেয়ে… Continue reading
মহীরুহ দর্শনের স্মৃতি
সি দ্দি ক মা হ মু দু র র হ মা ন আমার সঙ্গে সৈয়দ আলী আহসান স্যারের সরাসরি কোনো যোগাযোগ ছিল না। আমি তাঁর ছাত্র ছিলাম না, এমনকি কিশোর বয়সটা আমার পূর্ব পাকিস্তান বা পূর্ব বাংলাতেও কাটেনি। পিতার দূতাবাসে… Continue reading
কুভা
১ মোল্লা ফজল উদ্দিন একদিনের জন্য আন্দিজান গিয়েছিলেন, ফিরে এলেন প্রচন্ড দুশ্চিন্তা নিয়ে। নতুন বাদশাহ্ বাবরের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করার ইচ্ছা নিয়ে গিয়েছিলেন। তার বিশ্বাস ছিল যে সাহায্য পাবেন, তরুণ শাসকের কাছে একবার গিয়ে পড়তে পারলে হয়। স্থপতি জানতেন বাবরকে,… Continue reading
আখ্সি
১ উঁচু টিলার ওপর তৈরী করা আখ্সির কেল্লা রাতের অন্ধকারে কালো পাহাড়চূড়ার মত দেখাচ্ছে। টিলার পায়ের তলাতেই কাসানসাই নদী এসে মিলেছে সির-দরিয়ার সঙ্গে- দূরে থেকেই শোনা যায় দুই পাহাড়ী খরস্রোতা নদীর ঢেউগুলি পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খাচ্ছে আর তীরে ধাক্কা দিয়ে… Continue reading
কুভা
হিজরী ৮৯৯ (১৪৯৪ খ্রীষ্টাব্দ)। গ্রীষ্মকাল। ফরগানার উত্তপ্ত আকাশে ঘন মেঘ পাক খাচ্ছে, সারাদিন চাপা গুমোট গরমের পর সন্ধাবেলায় বৃষ্টি নামলো মুষলধারে। লালামাটির পাহাড়গুলোর মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা কুভাসাইয়ের পানি অল্পক্ষণের মধ্যেই লাল মেটে রং ধারণ করে ফুলে উঠলো। যেন রক্ত… Continue reading