আমার মনে হয় অমি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলাম। সঠিক স্মরণ নেই। আমার মনে আছে পাথরের দেয়ালের দিকে ঝুঁকে নিচের অতলস্পর্শী খাঁদের নিচে তাকালাম। আমার চোখে কিছু ধরা পড়লো না, কেবল বিশাল এক মেঘরাশি নিচের পৃথিবীটাকে আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। ‘অন্য… Continue reading
গল্প
স্বর্গ মরীচিকা ১১
আমি বুঝতে পারলাম ও অ্যানা। আমি বুঝতে পারলাম ও ছাড়া এমনভাবে আর কেউ দাঁড়াতে পারে না। আমি ভিক্টরের কথা ভুলে গেলাম, আমি কেন এখানে এসেছি তাও ভুলে গেলাম, সময়, স’ান, এই দীর্ঘ বৎসরগুলোর সবকিছুই আমার স্মৃতি থেকে মুছে গেল। আমার… Continue reading
স্বর্গ মরীচিকা ১০
হঠাৎ করে আমার চেতনা ফিরে এলো, কোন এক গভীর নিদ্রাময়তা থেকে চমকে উঠে সজাগ হলাম আর তখনই মনে হলো এক মুহূর্ত আগেও যেন আমি একা ছিলাম না, আমার পাশে কেউ যেন একজন ছিল, হাঁটু গেড়ে আমার ঘুমন- মুখের দিকে ঝুঁকে… Continue reading
স্বর্গ মরীচিকা ৯
চারপাশে তাকিয়ে মন অজানা আশঙ্কায় ভরে গেল। চারদিক কুয়াশা আর মেঘে ঢাকা – ঘন কালো মেঘ আর গাঢ় নিশ্ছিদ্র কুয়াশা। নিচের পথটা দৃষ্টি সীমা থেকে একেবারে আড়াল করে রেখেছে। আমার চোখের সামনে পর্দার মতো ঝুলে আছে যেন কুয়াশা আর দলাদলা… Continue reading
স্বর্গ মরীচিকা ৮
আমি সরাইখানা থেকে বের হয়ে পথে নামলাম তারপর একটা ছোট সাঁকো পার হলাম। পায়ের নিচে খরস্রোতা নদী ঘুরে নিচে বয়ে গিয়েছে। তারপর বাঁক ঘুরে পাহাড়ী পথটা বেয়ে এগোতে মন্টে ভেরিটার পূব দিকের মুখটার দিকে। বেশ কিছুক্ষণ লোকালয়ের নানা শব্দ ভেসে… Continue reading
স্বর্গ মরীচিকা ৭
আমি বিমানে এক শহর থেকে অন্য শহরে যাচ্ছিলাম। শহরের নামগুলো না হয় নাই বা বললাম – ওগুলোও তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। যে ঘটনাটা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো বিমানটিকে জরুরী অবতরণ করতে হলো যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে, ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল বলে কোন প্রাণহানী ঘটেনি।… Continue reading
স্বর্গ মরীচিকা ৬
সূর্য তখন পশ্চিমে ঢলে পড়েছে, পাহাড়ের ঐ জায়গাটার ছায়া ধীরে ধীরে ছাড়িয়ে পড়ছে। ভিক্টর অনেকক্ষণ অ্যানার দিকে তাকিয়ে থাকলো, তারপর পিছনে ফিরে গলি পথের দিকে হাঁটতে আরম্ভ করলো। গলি পথটার কাছে এসে ও কয়েক মুহুর্ত থামলো, তারপর আবার ঐ দেয়ালের… Continue reading
স্বর্গ মরীচিকা 5
মেয়েটা চড়া গলায় কবিতা আবৃত্তি করার মতো করে বলে গেলো, চোখদুটো ভিক্টরের দিকে নিবদ্ধ। ওর কথা বলার ধরণ শুনে বোঝা গেল ও আরও অনেকবার এই একই কথা উচ্চারণ করেছে। একই ধরনের শ্রোতাদের কাছে। তাই এখন পুরো বিষয়টা ওর কাছে কবিতা… Continue reading
আন্দিজান
১ শুধু রাতের অন্ধকারে হল না, আবার আকাশে এসে জড় হল মেঘের দল। ঘন অন্ধকারে ডুবে গেল কেল্লা। আন্দিজানের রাস্তাঘাট উৎকণ্ঠায় নীরব হয়ে গেছে। নিস্তব্ধ, জনহীন… ঐ যে সতর্কভাবে সামান্য ক্যাঁচক্যাঁচ আওয়াজ তুলে খুলে যাচ্ছে তোরণদ্বার। সবার সামনে চলেছেন পুরুষের… Continue reading
স্বর্গ মরীচিকা ৪
প্রথমে ভিক্টরের মনে কোনই দুশ্চিন-াই দেখা দিলো না । ও জানতো অ্যানা নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম, ওর নিজের মতোই পাহাড়ে ওঠায় যথেষ্ট পারদর্শী। কখনই বোকার মতো কাজ করবে না আর বৃদ্ধ যখন বলেছে চূঁড়ায় ওঠার পথটা বিপদজ্জনক নয়, তখন তো… Continue reading
স্বর্গ মরীচিকা ৩
ওদের সাথে আবার অল্প সময়ের জন্য দেখা হলো কয়েক মাস পরে আমার আমেরিকা যাবার কিছু আগে। আমি সেন্ট জেমস্-এর ম্যাপ হাউজে গিয়েছিলাম, বেশ কয়েকটা বই কিনতে, যে গুলো আটলান্টিকের দীর্ঘ যাত্রায় পড়বো বলে ভেবেছিলাম – সে সময় আটলান্টিক পাড়ি দেবার… Continue reading
স্বর্গ মরীচিকা ২
এক গ্রীস্মে কানাডায় কাজ শেষ করে লন্ডনে ফিরে ভিক্টরের উচ্ছাসভরা চিঠি পেলাম। ও বিয়ে করতে যাচ্ছে। ওদের বাকদান হয়ে গিয়েছে। শিগ্রি ওদের বিয়ে হবে। মেয়েটি ওর চোখে সুন্দরতম। আমি যেন অবশ্যই ওর উকিল হই। এমন অবস’ায় অন্য যে কোন প্রকৃত… Continue reading
স্বর্গ মরীচিকা ১
১ পরে ওরা আমাকে জানালো, ওরা ওখানে কিছুই খু্ঁজে পায়নি। জীবিত কিংবা মৃত কোন প্রাণীরই চিহ্ন নাকি ওখানে ছিল না। আর আমার মনে হয়, দীর্ঘকালের ঘৃণা আর আতঙ্কে মরিয়া হয়ে ওরা শেষ পর্যন্ত ঐ নিষিদ্ধ দেয়াল ভেঙে ফেলেছিল। রাশি রাশি… Continue reading
সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ১২
৬ এপ্রিল ডেলটা হাসপাতালে ভর্তি হলো ফিহা। ওকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আমি তাড়াতাড়ি এসিটা চালিয়ে দিলাম। ওর কাছে গিয়ে বললাম, ‘এখন তোমার একটু ভাল লাগবে, সোনা বাবা।’ ও কোন কথা বললো না, কেবল ফাঁকা বড় বড় চোখ মেলে আমার দিকে… Continue reading
সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ১১
২২ ডিসেম্বর থেকে ডেলটা হাসপাতালে রেডিয়েশন দেয়া আরম্ভ হলো। সপ্তাহে পাঁচ দিন, শনিবার থেকে বুধ বার। বৃহষ্পতি আর শুক্রবার দেওয়া হতো না। সপ্তাহে পাঁচ দিন শেওড়াপাড়া থেকে সিএনজি ট্যাক্সিতে করে মিরপুরের বাংলা কলেজের কাছের ডেলটা হাসপাতালে গিয়ে রেডিয়েশন দিতে হবে।… Continue reading
সায়েম মাহমুদের নিস্ফল দ্বৈরথ অধ্যায় ১০
পরের দিন সকালে উঠে নাস্তার পর আমরা তিন জনে বের হলাম জুরং বার্ড পার্ক দেখতে। ট্যাক্সিতে যাওয়ার ইচ্ছে নেই। তাই সকালে উঠে পপি বললো, খুঁজে দেখো কোথায় থেকে ওদিকে যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। কোন পথের বাস কোথায় স্টপেজ তা যখন… Continue reading